শিরা ও ধমনীর পার্থক্য – যে সমস্ত রক্তবাহ কার্বনডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত বহন করে তাদের শিরা বলে । এবং যে সমস্ত রক্তবাহ অক্সিজেন যুক্ত রক্ত বহন করে তাদের ধমনী বলে ।
এই পৃষ্ঠায়
শিরা ও ধমনীর পার্থক্য :
শিরা কাকে বলে :
যে সমস্ত রক্তবাহ রক্তজালক থেকে উৎপত্তি লাভ করে কার্বনডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত বহন করে হৃৎপিণ্ডে পৌঁছে দেয় , তাদের শিরা বলে ।
শিরার বৈশিষ্ট্য :
(ক) শিরা রক্তজালক থেকে উৎপত্তি লাভ করে আর হৃৎপিণ্ডে এসে উন্মুক্ত হয় ।
(খ) শিরার প্রাচীর ধমনীর প্রাচীরের তুলনায় পাতলা ।
(গ) শিরার গহ্বর প্রশস্ত ও কপাটিকা যুক্ত হয় ।
(ঘ) শিরাতে স্থিতিস্থাপক তন্তু থাকে না ।
শিরার কাজ :
(ক) শিরা কার্বনডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত বহন করে হৃৎপিণ্ডে পৌঁছে দেয় ।
(খ) ফুসফুসীয় শিরা বেশি অক্সিজেন যুক্ত রক্তকে ফুসফুস থেকে বাম অলিন্দে পৌঁছে দেয় ।
আরো পড়ুন – বিভিন্ন ভিটামিনের রাসায়নিক নাম এবং অভাবজনিত রোগের তালিকা
ধমনী কাকে বলে :
যে সমস্ত রক্তবাহ হৃৎপিন্ড থেকে উৎপত্তি লাভ করে অক্সিজেন যুক্ত রক্তকে সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয় , তাদের ধমনী বলে ।
ধমনীর বৈশিষ্ট্য :
(ক) ধমনী হৃৎপিণ্ড থেকে উৎপত্তি লাভ করে ।
(খ) ধমনীর প্রাচীর পুরু ।
(গ) ধমনীর গহ্বর সরু এবং কপাটিকাবিহীন ।
(ঘ) উপধমনীতে বহিঃস্তর থাকে না ।
ধমনীর কাজ :
ধমনী অক্সিজেন যুক্ত রক্তকে সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয় ।
শিরা ও ধমনীর পার্থক্য :
বিষয় | শিরা | ধমনী |
---|---|---|
প্রাচীর | শিরার প্রাচীর পাতলা । | ধমনীর প্রাচীর পুরু । |
উৎপত্তিস্থল | শিরা রক্তজালক থেকে উৎপত্তি লাভ করে । | ধমনী হৃৎপিণ্ড থেকে উৎপত্তি লাভ করে । |
মিলনস্থল | হৃৎপিণ্ড | রক্তজালক |
গহ্বর | শিরার গহ্বর প্রশস্ত । | ধমনীর গহ্বর সরু । |
কপাটিকা | কপাটিকা যুক্ত হয় । | কপাটিকাবিহীন । |
রক্তচাপ | রক্তচাপ কম হয় । | রক্তচাপ বেশি হয় । |
স্পন্দন | স্পন্দন নেই । | স্পন্দন আছে । |
রক্তসংবহন পথ | শিরা সারাদেহ থেকে রক্ত হৃৎপিণ্ডে ফিরিয়ে আনে । | ধমনী হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয় । |
কাজ | শিরা কার্বনডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত বহন করে হৃৎপিণ্ডে পৌঁছে দেয় । | ধমনী অক্সিজেন যুক্ত রক্তকে সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয় । |
রক্তের গতি | শিরাতে রক্তপ্রবাহ ধীরগতিতে হয় । | ধমনীতে রক্তপ্রবাহ দ্রুতগতিতে হয় । |
FAQs On – শিরা ও ধমনীর পার্থক্য আলোচনা করো
যে সমস্ত রক্তবাহ রক্তজালক থেকে উৎপত্তি লাভ করে কার্বনডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত বহন করে হৃৎপিণ্ডে পৌঁছে দেয় , তাদের শিরা বলে । আর যে সমস্ত রক্তবাহ হৃৎপিন্ড থেকে উৎপত্তি লাভ করে অক্সিজেন যুক্ত রক্তকে সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয় , তাদের ধমনী বলে ।
শিরা কার্বনডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত বহন করে হৃৎপিণ্ডে পৌঁছে দেয় । আর ধমনী অক্সিজেন যুক্ত রক্তকে সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয় ।
ধমনি ও শিরার সংযোগস্থলে অবস্থিত কেবল এক স্তরবিশিষ্ট এন্ডোথেলিয়াম দিয়ে গঠিত সূক্ষ্ণ রক্তনালি জালকের আকারে বিন্যস্ত থাকে সেগুলোকে কৈশিক জালিকা বলে।
(ক) শিরা রক্তজালক থেকে উৎপত্তি লাভ করে আর হৃৎপিণ্ডে এসে উন্মুক্ত হয় ।
(খ) শিরার প্রাচীর ধমনীর প্রাচীরের তুলনায় পাতলা ।
(গ) শিরার গহ্বর প্রশস্ত ও কপাটিকা যুক্ত হয় ।
(ঘ) শিরাতে স্থিতিস্থাপক তন্তু থাকে না ।
(ক) ধমনী হৃৎপিণ্ড থেকে উৎপত্তি লাভ করে ।
(খ) ধমনীর প্রাচীর পুরু ।
(গ) ধমনীর গহ্বর সরু এবং কপাটিকাবিহীন ।
(ঘ) উপধমনীতে বহিঃস্তর থাকে না ।