চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান – ভারতের চিকিৎসক সমাজকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে যিনি অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন তিনি আর কেউ নন আমাদের রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সুচিকিৎসক ডঃ বিধানচন্দ্র রায় ।চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান নিয়েই আমরা নিম্নে বিস্তৃতভাবে আলোচনা করলাম ।
এই পৃষ্ঠায়
চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান :
আরো পড়ুন – বাংলা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাদম্বিনী বসুর অবদান
ভূমিকা :
পরাধীন ভারতে চিকিৎসক সমাজকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান অনস্বীকার্য।তিনি ছিলেন সুচিকিৎসক,রাজনীতিবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ।
শিক্ষাজীবন :
বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম ১৮৮২ খ্রি: বিহারের পাটনা জেলায় । ধন্বন্তরি চিকিৎসক হিসেবে তাঁর খ্যাতি।
১৯০১ খ্রিস্টাব্দে বাঁকিপুর কলেজ থেকে গণিতে বি এ অনার্স পাস করার পর কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে ভরতি হন।
১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে L.M.S এবং ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে M.D ডিগ্রি লাভ করেন । ১৯০৯ খ্রি :তিনি বিলেত গমন করেন ।
এখানে তিনি মাত্র দু-বছরের মধ্যে F.R.C.Sএবং N.R.C.P পরীক্ষা দুটিতে
কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। দেশে ফিরে এসে তিনি ক্যালকাটা মেডিকেল কলেজের শিক্ষকের দায়িত্ব নেন ।এরপর তিনি ১৯১৮ সালে আর.জি.কর – এর মেডিসিনের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেওয়ার সুযোগ পান।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে অবদান :
বিধানচন্দ্র রায় রাজনীতিতে যোগদান করে ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে নির্বাচনে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন এবং ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে তিনি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।
বিজ্ঞানচর্চার দিক থেকে বললে তিনি ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে রয়্যাল সোসাইটি অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন এবং ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকান সোসাইটি অফ্ চেস্ট ফিজিশিয়ান- এর Fellow নির্বাচিত হন।
এরপর মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে তিনি IIT খড়গপুর ও দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের সদর দপ্তর পশ্চিমবঙ্গে স্থাপন করান ।
পুরস্কার ও সম্মান :
অসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী এই ব্যক্তি ১৯৬১ সালে ভারতরত্ন সম্মানে সম্মানিত হন।
মূল্যায়ন :
দুর্গাপুরকে বৃহৎ শিল্পাঞ্চলে পরিণত করা এবং কল্যাণীকে কলকাতার বিকল্প উপনগরী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান অনস্বীকার্য।
বিধানচন্দ্র রায় ১৮৮২ খ্রি:১লা জুলাই জন্মগ্রহন করেন এবং ১৯৬২ খ্রি:১লা জুলাই মৃত্যুবরণ করেন ।তাই ১ লা জুলাই দিনটি ‘চিকিৎসক দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
চিকিৎসা ও রাজনীতি এই উভয় ক্ষেত্রেই ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় তাঁর কৃতিত্ত্বের ছাপ রেখে গেছেন ।
আরো পড়ুন – বাংলা বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান
FAQs On – চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান
বিধানচন্দ্র রায় 1961 সালে ভারত রত্ন পায় ?
বিধানচন্দ্র রায়কে বলা হয় বাংলার রূপকার ।কারন ১৯৪৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে তিনি নবগঠিত পশ্চিমবঙ্গের অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেন।
বিধানচন্দ্র রায় ১৮৮২ খ্রি: ১লা জুলাই জন্মগ্রহন করেন এবং ১৯৬২ খ্রি: ১লা জুলাই মৃত্যুবরণ করেন ।তিনি ছিলেন মহাত্মা গান্ধীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম চিকিৎসা পরামর্শদাতা ।তাই ১লা জুলাই চিকিৎসক দিবস বা ডাক্তার দিবস হিসাবে পালিত হয় ।
চিকিৎসক দিবস পালিত হয় ১লা জুলাই ।
বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যু দিন ১লা জুলাই ।