কেশবচন্দ্র সেনের সঙ্গে দ্বারকানাথ ঠাকুরের বিরোধের কারণ – আজকের পর্বে আমরা তোমাদের সাথে আলোচনা করলাম কেশবচন্দ্র সেনের সঙ্গে দ্বারকানাথ ঠাকুরের বিরোধ নিয়ে ।
এই পৃষ্ঠায়
কেশবচন্দ্র সেনের সঙ্গে দ্বারকানাথ ঠাকুরের বিরোধের কারন:
আরো পড়ুন – পঞ্চানন কর্মকার বিখ্যাত কেন
ভূমিকা :
উনিশ শতকের বাংলা তথা ভারতের ধর্মসংস্কার আন্দোলনের পথিকৃৎ ছিল ব্রাহ্মসমাজ ।ব্রাহ্মসমাজ একেশ্বরবাদের কথা বলে ।
রাজা রামমোহন রায়ের উদ্যোগে ব্রাহ্মসমাজ গঠিত হলেও তাঁর মৃত্যুর পর দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা দেবেন্দ্রনাথ এবং কেশবচন্দ্র সেন ব্রাহ্মসমাজে যোগদান করলে তা আরও গতিশীল হয় ।
কেশবচন্দ্র সেন ও দ্বারকানাথ ঠাকুরের বিরোধের কারণ :
(১) কেশবচন্দ্র সেন ব্রাহ্ম উপাসনা পদ্ধতি ও ব্রাহ্ম ধর্মের মূল তত্বগুলিকে সহজসরল ও যুগোপযোগী করে তোলেন ।
অপরদিকে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বলতেন ব্রাহ্ম ধর্ম হল হিন্দু ধর্মই এবং হিন্দু ধর্মের বিশুদ্ধ রূপ ।
(২) কেশবচন্দ্র সেন হিন্দু ধর্ম ও সামাজিক কুপ্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলনের পক্ষপাতী ছিলেন ।
অপরদিকে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মূর্তিপূজা অথবা অন্য কোনো সংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পক্ষপাতী ছিলেন না ।
এই মতপার্থ্যক্যের জন্যে ব্রাহ্ম সমাজ ভেঙে যায় ।কেশবচন্দ্র সেন ১৮৬৬ খ্রি: প্রতিষ্ঠা করেন ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্ম সমাজ ।অপরদিকে দেবেন্দ্রনাথ ও তার অনুগামীরা আদি ব্রাহ্মসমাজ নামে পরিচিতি লাভ করে ।
মূল্যায়ণ :
কেশবচন্দ্র সেনের মৃত্যুর পর ব্রাহ্মসমাজ তার প্রভাব প্রতিপত্তি হারিয়ে ফেলে ।তবে বাংলার ধর্ম ও সমাজসংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম ।ডঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেছেন, “কেশবচন্দ্র পরিচালিত এই ধর্ম ও সমাজসংস্কার আন্দোলনই হলো প্রথম সর্বভারতীয় আন্দোলন ।”
আরো পড়ুন – বাংলা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাদম্বিনী বসুর অবদান
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন – www.youtube.com/@DRMonojog
পিডিএফ পেতে ভিজিট করুন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল – DR Monojog63
FAQs On কেশবচন্দ্র সেনের সঙ্গে দ্বারকানাথ ঠাকুরের বিরোধের কারণ
ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন রাজা রামমোহন রায় ।
আদিব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয় দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে ।
কেশবচন্দ্র সেন প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মসমাজ ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ নামে পরিচিত ।
ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিঠিত হয় ১৮৬৬ খ্রি: ।
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুগামীরা আদি ব্রাহ্মসমাজ নামে পরিচিত ছিল ।