ঠান্ডা লড়াই এর কারণ ও ফলাফল

ঠান্ডা লড়াই এর কারণ ও ফলাফল – আজকের পর্বে আমরা তোমাদের সাথে আলোচনা করলাম ঠান্ডা লড়াই এর কারণ ও ফলাফল গুলি নিয়ে ।

এই পৃষ্ঠায়

ঠান্ডা লড়াই এর কারণ ও ফলাফল :

ঠান্ডা লড়াই এর কারণ ও ফলাফল

আরো পড়ুন – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ ও ফলাফল

ভূমিকা :

১৯৪৫ খ্রি: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একদিকে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট আর অন্যদিকে সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে ‘ঠান্ডা লড়াই’ নাম পরিচিত।

ঠান্ডা লড়াই এর কারণ :

ঠান্ডা লড়াই সংঘটিত হওয়ার পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। ঠান্ডা লড়াই সংঘটিত হওয়ার পিছনে যে সমস্ত কারণগুলি ছিল সেগুলি নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল –

(ক) বলশেভিক বিপ্লবের বিরোধিতা :

রাশিয়ায় স্বৈরাচারী জারতন্ত্রের বিরুদ্ধে ১৯১৭ সালে বলশেভিক বিপ্লব সংঘটিত হয়। এই বিপ্লবকে আমেরিকাসহ ধনতান্ত্রিক দেশগুলি সুনজরে দেখেনি।

এরা বিপ্লবের সময়ে রাশিয়ার জারকে সাহায্যও করেছিল। পরবর্তী সময়ে এই দেশগুলি সাম্যবাদী সরকারকে উপেক্ষা করে চলতে থাকে। ফলে পশ্চিমি দেশগুলির প্রতি রাশিয়ার মনে বিরূপ ধারণা জন্মায় ।

(খ) রুশ সম্প্রসারণ নীতি :

বলশেভিক বিপ্লবের আগে থেকেই রাশিয়া নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে পূর্ব ইউরোপ ও বলকান অঞ্চলে সম্প্রসারণ নীতি গ্রহণ করে।

১৯৪৫ সালে ইয়াল্টা সম্মেলনে রুশ রাষ্ট্রপতি স্ট্যালিন আমেরিকা ও ইংল্যান্ডকে এই নীতি বজায় রাখার কথা জানায়। কিন্তু ট্রুম্যান রাশিয়ার এই নীতি মানতে রাজি ছিলেন না।

(গ) টুম্যান নীতি ও মার্শাল পরিকল্পনা :

ঠান্ডা লড়াইয়ের উদ্ভবের মূলে একটি বড়াে কারণ ছিল টুম্যান নীতি এবং মার্শাল পরিকল্পনা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার কিছুদিন পরে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চে মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি টুম্যান সােভিয়েত ইউনিয়নকে প্রতিরােধ করার নীতি প্রকাশ্যে ঘােষণা করেন।

যুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে বিভিন্ন অঞ্চলে সােভিয়েত প্রভাব নির্মূল করাই ছিল এই নীতির প্রধান উদ্দেশ্য।

একইসময়ে রাষ্ট্রপতি টুম্যানের পররাষ্ট্র সচিব জর্জ সি. মার্শাল ইউরােপের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন সম্পর্কে একটি পরিকল্পনার কথা ঘােষণা করেন। এটি মার্শাল পরিকল্পনা নামে পরিচিতি লাভ করে।

(ঘ) হিটলারের প্রতি তোষণ :

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে জার্মানিতে হিটলার ক্ষমতায় আসে। ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স এই সময় একনায়ক হিটলারের চেয়ে সাম্যবাদী রাশিয়াকে বড় শত্রু বলে মনে করতো।

ফলে তারা হিটলারকে তোষণ করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্য।

(ঙ) পারমাণবিক প্রতিযোগিতা :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দুই বৃহৎ শক্তিধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সােভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে যে পারমাণবিক প্রতিযােগিতা এবং পারমাণবিক প্রতিরােধ গড়ে ওঠে তার ফল হল ঠান্ডা লড়াই।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের লেখকরা এটা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত জাপানকে আরও পর্যুদস্ত করে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ছিল না,

বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রদর্শন করে সােভিয়েত ইউনিয়নকে দেখানােই ছিল তার প্রধান উদ্দেশ্য।

(চ) দ্বিতীয় রণাঙ্গণের প্রশ্ন :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সময় (১৯৪১) হিটলার রাশিয়া আক্রমণ করে। রাশিয়া এই সময় মিত্রশক্তির কাছে দ্বিতীয় রণাঙ্গণ খোলার প্রস্তাব দেয়।

কিন্তু মিত্রশক্তি এবিষয়ে অযথা টালবাহানা করতে থাকে। পরে নিজশক্তিতে রাশিয়া যখন হিটলারকে প্রতিহত করে তখন মিত্রশক্তি পশ্চিম ইউরোপে হিটলারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় রণাঙ্গণ খোলে।

এতে মিত্রশক্তির প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে রাশিয়ার মনে সন্দেহ তৈরী হয়। 

(ছ) পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে মতভেদ :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স  ও চিন – এই পাঁচটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে একটি কাউন্সিল গঠিত হয়।

এর উদ্দেশ্য ছিল অক্ষশক্তিভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে কিভাবে শান্তিচুক্তি সম্পাদন করা হবে তা ঠিক করা। কিন্তু কাউন্সিলের প্রত্যেক অধিবেশনেই রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অন্যদের তীব্র মতবিরোধ দেখা দেয় ।

(জ) জার্মানির ক্ষতিপূরণ :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য দায়ী করে জার্মানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত হয় ইয়াল্টা সম্মেলনে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই আমেরিকা ও ইংল্যান্ড ক্ষতিপূরণ আদায়ে অনীহা দেখায়।

রাশিয়ার ধারণা হয় জার্মানিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্যই ক্ষতিপূরণ আদায় করা হচ্ছে না।

(ঝ) সামরিক জোট গঠন :

ঠান্ডা লড়াইয়ের উৎপত্তির কারণ হিসেবে দুই বৃহৎ শক্তির নেতৃত্বাধীন সামরিক আঁতাত বা সামরিক জোট গঠনের কথাও উল্লেখ করা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিছুকাল পরে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত হয় সামরিক জোট ন্যাটো (NATO)।

মার্কিনি নেতৃত্বের সামরিক জোট ন্যাটো’র বিপরীতে কয়েক বছরের মধ্যেই (১৯৫৫ খ্রি.) সােভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে হয় ওয়ারশ চুক্তি (Warsaw Pact)।

আনুষ্ঠানিকভাবে এটি আত্মরক্ষামূলক আঞ্চলিক ব্যবস্থা হিসেবে ঘােষিত হলেও ন্যাটো’র বিরুদ্ধে এক পালটা জোট তৈরি করে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করাই ছিল এর মূল উদ্দেশ্য।

এভাবে দুই অতিবৃহৎ শক্তি সামরিক জোট তৈরি করে ঠান্ডা লড়াইকে আরও বিপজ্জনক স্তরে নিয়ে যায় বলে অনেকে মনে করেন।

(ঞ) বেষ্টনী নীতি :

1947 খ্রিস্টাব্দের 4 জুলাই রাশিয়াতে কর্মরত প্রাক্তন সহকারি রাষ্ট্রদূত জর্জ এফ কেন্নান Mr. X ছদ্মনামে ‘Foreign Affairs’ পত্রিকাতে লেখেন যে-রাশিয়া রণক্লান্ত, রুশ জনগণ দুর্দশাগ্রস্ত।

রাশিয়ার দিক থেকে আক্রমণের সম্ভাবনা নেই। তাই আমেরিকার উচিত যে-অঞ্চলে রাশিয়ার প্রভাব আছে তাকে সীমাবদ্ধ রাখা। এটি ‘বেষ্টনী নীতি’ নামে পরিচিত।

এই বেষ্টনী নীতিকে ঠান্ডা লড়াইয়ের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে অনেক ঐতিহাসিকরা চিহ্নিত করেছেন ।

(ট) নেতৃত্বের পরিবর্তন :

১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন রাষ্ট্রপতি রুজভেল্টের মৃত্যু হলে হ্যারি এস ট্রুম্যান পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

অন্যদিকে ইংল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে উইনস্টন চার্চিল পরাজিত হন এবং শ্রমিক দলের নেতা ক্লেমেন্ট এটলি পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।

আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের পূর্বতন রাষ্ট্রপ্রধানদের আমলে রাশিয়ার সঙ্গে ওই দুটি দেশের যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বোঝাপড়া ছিল তা পশ্চিমি দেশ দুটির নেতৃত্বের পরিবর্তনের ফলে নষ্ট হয়ে যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় যে, একসময় রাশিয়ায় কর্মরত সহকারী মার্কিন রাষ্ট্রদূত জর্জ এফ কেন্নান এক টেলিগ্রাম বার্তায় জানান যে,

সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃবৰ্গকে কোনোভাবেই বিশ্বাস করা যায় না, কেননা, তারা কট্টর মার্কস ও লেনিনপন্থী।

এই অবস্থায় মার্কিন সামরিক দপ্তর পেন্টাগন রাষ্ট্রপতি ট্রুম্যানকে রাশিয়া সম্পর্কে কঠোর নীতি গ্রহণে উৎসাহী করে তোলে।

ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রভাব :

ঠান্ডা লড়াই সারা বিশ্বে বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। বিশেষ করে দেশগুলির রাজনীতি ও অর্থনীতিতে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হয়েছিল।

(ক) সামরিক জোট গঠন :

ঠান্ডা লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সামরিক জোট গড়ে ওঠে।

এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল NATO, SEATO, ANZUS, CENTO, COMECON  ইত্যাদি। 

(খ) অস্ত্র প্রতিযোগিতা :

ঠান্ডা লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ‘ন্যাটো’ শিবির এবং সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ‘ওয়ারশ চুক্তি’ শিবির পরস্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নামে।

উভয় পক্ষই প্রচুর পরিমাণ পরমাণু অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য মজুত করে রাখে।

(গ) বার্লিন প্রাচীর ধ্বংস :

ঠান্ডা লড়াইয়ের কারণে জার্মানিকে ভাগাভাগি করে বার্লিন শহরের মাঝখান বরাবর প্রাচীর তুলে দেওয়া হয়। এই প্রাচীর ‘বার্লিন প্রাচীর’ নামে পরিচিত।

১৯৮৯ সালে ঠান্ডা লড়াইয়ের শেষ পর্বে এসে তা ভেঙে দেওয়া হয়।

(ঘ) কমিউনিস্টদের প্রভাব হ্রাস :

ঠান্ডা লড়াইয়ে অংশ নিয়ে রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে ক্রমাগত অস্ত্রনির্মাণে এবং বিভিন্ন দেশকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে আর্থিক দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে।

এর ফলে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া ভেঙে যায়।

(ঙ) একমেরুকরণ :

ঠাণ্ডা লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে সোভিয়েত রাশিয়ার পতন ঘটলে আমেরিকা পৃথিবীর একমাত্র শ্রেষ্ঠ শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়।

ফলে দ্বিমেরু বিশ্বের অবসান ঘটে ও একমেরু বিশ্বব্যবস্থা অর্থাৎ একমেরুকরণ গড়ে ওঠে।

(চ) তৃতীয় বিশ্বের উদ্ভব :

ঠান্ডা লড়াইয়ের আবর্ত থেকেই জন্ম নিয়েছিল তৃতীয় বিশ্বের ধারণা। মার্কিন জোট (প্রথম বিশ্ব)  ও সোভিয়েত জোট (দ্বিতীয় বিশ্ব) এবং এর বাইরে যারা নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল তারা তৃতীয় বিশ্ব হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।

(ছ) জোট-নিরপেক্ষ নীতি :

যেসব দেশ প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বের রাষ্ট্র জোটের সঙ্গে যোগ দিতে চায় নি তারা নিজেদের সংগঠিত করে জোট-নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করে। এই নীতির কারণে এরা মার্কিন ও সোভিয়েত জোটের থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করে। 

(জ) স্বাধীনতা লাভ :

সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের ফলে কয়েকটি বাল্টিক রাজ্য-সহ প্রায় ১৫টি দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল লাটভিয়া এস্তোনিয়া লিথুয়ানিয়া ইত্যাদি।

মূল্যায়ন :

বৃহৎ শক্তিবর্গের মদতে কোরিয়ান যুদ্ধ, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, সুয়েজ সংকট, আরব-ইজরায়েল সংঘর্ষ ইত্যাদি তৃতীয় বিশ্বের উপর ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রভাব ক্রমশ তীব্র আকার ধারণ করে।

তবু এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্গত বিভিন্ন দেশ ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রভাবকে কাটিয়ে জাতীয়তাবাদ ও মানবতার বিজয় রথ এগিয়ে নিয়ে চলেছে এবং বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার গৌরব জনক ভূমিকা পালন করে চলেছে।

আরো পড়ুন – বক্সারের যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন – www.youtube.com/@DRMonojog

পিডিএফ পেতে ভিজিট করুন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল – DR Monojog63

FAQs On – ঠান্ডা লড়াই এর কারণ ও ফলাফল

কবে রাশিয়ায় বলশেভিক বিপ্লব সংঘটিত হয় ?

১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ায় বলশেভিক বিপ্লব সংঘটিত হয় ।

কবে সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া ভেঙ্গে যায় ?

১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া ভেঙ্গে যায় ।

কিউবা সংকট সংঘটিত হয়েছিল কবে ?

১৯৬২ খ্রি: কিউবা সংকট সংঘটিত হয়েছিল ।

সুয়েজ সংকট সংঘটিত হয়েছিল কবে ?

১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দ সুয়েজ সংকট সংঘটিত হয়েছিল ।

কোরিয়া যুদ্ধ সংঘটিত হয় কবে ?

১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে কোরিয়া যুদ্ধ সংঘটিত হয় ।

ইয়াল্টা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কবে ?

ইয়াল্টা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে ।

ঠান্ডা লড়াই’ শব্দটি প্রথম কে প্রয়ােগ করেন ?

ঠান্ডা লড়াই’ শব্দটি প্রথম প্রয়ােগ করেন বার্নার্ড বারুচ নামে এক মার্কিন কূটনীতিক।

ঠান্ডা লড়াই কী ?

১৯৪৫ খ্রি: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একদিকে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট আর অন্যদিকে সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে ‘ঠান্ডা লড়াই’ নাম পরিচিত।

ঠান্ডা লড়াই কথাটি প্রথম কে ব্যবহার করেন ?

ঠান্ডা লড়াই কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপমান , ১৯৪৭ সালে ।

ঠান্ডা লড়াই কাদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল ?

একদিকে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট আর অন্যদিকে সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোটের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই সংঘটিত হয়েছিল ।

মন্তব্য করুন