বাংলা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাদম্বিনী বসুর অবদান

বাংলা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাদম্বিনী বসুর অবদান – আজকের পর্বে আমরা তোমাদের সাথে আলোচনা করলাম চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাদম্বিনী বসুর অবদান নিয়ে ।

বাংলা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাদম্বিনী বসুর অবদান :

বাংলা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাদম্বিনী বসুর অবদান

আরো পড়ুন – বাংলা বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান

চিকিৎসাবিদ‍্যায় অবদান কাদম্বিনী বসুর অবদান :

কাদম্বিনীর পিতা ব্রজকিশোর বসু ভাগলপুরের স্কুলের প্রধানশিক্ষক হলেও কাদম্বিনীর শিক্ষাজীবন মসৃণ পথে চলেনি।

সমস্ত বন্ধুরতা সামলে 1882 খ্রিস্টাব্দে তিনি এবং চন্দ্রমুখী বসু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা স্নাতক হিসেবে সম্মানিত হন।

স্নাতক হওয়ার পর অনেক লড়াই করে 1883 খ্রি: ভরতি হন এশিয়ার প্রথম পাশ্চাত্য চিকিৎসাবিদ্যার শিক্ষাকেন্দ্র বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজে।

ডাক্তারি পড়ার সময় সরকারের কাছ থেকে মাসে ২০ টাকা বৃত্তি পেয়েছিলেন তিনি ।1886 খ্রি: তিনি  অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা করার স্বীকৃতি পান।

তিনি হয়ে ওঠেন ভারতীয় কলেজ থেকে উত্তীর্ণ প্রথম ভারতীয় মহিলা ডাক্তার।১৮৯০ সালে প্রথম মহিলা ডাক্তার হিসেবে লেডি ডাফরিন

হাসপাতালে চিকিৎসা করার অনুমতি পান মাত্রা ৩০০ টাকা মাহিনার বিনিময়ে

কৃতিত্ব :

লেডি ডাফরিন হাসপাতালে চিকিৎসক থাকার সময় তিনি বিলিতি ডিগ্রির কদর উপলব্ধি করেন এবং ১৮৯২ খ্রি: চিকিৎসা সংক্রান্ত গভীর পড়াশুনার জন্যে ইংল্যান্ড পাড়ি দেন ।

সেখান থেকে LRCC ( এডিনবরা ), LRCS ( গ্লাসগো ) ও GFCS ( ডাবলিন ) উপাধি নিয়ে স্বদেশে ফিরলেন। এবার তিনি হলেন মহিলা ডাক্তার যিনি বিলিতি ডিগ্রিধারী প্রথম ভারতীয়।

এরপর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।তিনি ১৮৮৯ খ্রি: ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রকাশ্য অধিবেশনে যোগ দেন ।

১৮৯০ খ্রি: কলকাতা অধিবেশনে বিশেষ দায়িত্ব পালন করেন ।কলকাতা অধিবেশনে তিনি ছিলেন প্রথম মহিলা বক্তা ।

সমাজসেবা :

১৮৯৫ খ্রি: তিনি নেপালের রাজমাতার চিকিৎসার জন্যে নেপালে যান ।সেখানে তার হাত ধরে আধুনিক জনচিকিৎসার সূত্রপাত হয় ।

১৯২১ খ্রি: তিনি খনি শ্রমিকদের অবস্থা পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে বিহারে যাত্রা করেন ।

মূল্যায়ন :

নারীপুরুষ নির্বিশেষে মনের দিক থেকে যুগের তুলনায় তিনি অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন ।সমাজে নারী – পুরুষের সমান দায়িত্বে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন ।তাই তিনি জাতীয় কংগ্রেসে অংশ নিতে একবার পিছপা হননি ।চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তিনি নারীদের উদ্বুদ্ধ করে গেছেন ।এই মহান নারী ১৯২৩ খ্রি: -এর অক্টবর মাসে পরলোক গমন করেন ।বাঙালি চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে তিনি আজ অমর হয়ে আছেন ।

আরো পড়ুন – বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে যামিনী রায়ের অবদান

FAQs On – বাংলা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাদম্বিনী বসুর অবদান

কাদম্বিনী গাঙ্গুলী স্মরণীয় কেন ?

বাংলা চিকিৎসা বিজ্ঞানের জগতে অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন কাদম্বিনী বসু ।বাংলা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় ভারতবর্ষ তথা সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রথম দুই মহিলা গ্রাজুয়েটের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কাদম্বিনী গাঙ্গুলি ।

কাদম্বিনী বসু কবে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?

বিহারের ভাগলপুরে ১৮৬১ খ্রি: কাদম্বিনী বসু জন্মগ্রহন করেন ।

ভারতের প্রথম দুই মহিলা গ্রাজুয়েটের নাম লেখো ।

ভারতের প্রথম দুই মহিলা গ্রাজুয়েটের নাম হল – কাদম্বিনী গাঙ্গুলি ও চন্দ্রমুখী বসু ।

মন্তব্য করুন