ডান্ডি অভিযান কী আলোচনা করো – ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হল মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে ডান্ডি অভিযান । এই অভিযানের মধ্যে দিয়েই দেশজুড়ে আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা হয় ।
এই পৃষ্ঠায়
ডান্ডি অভিযান কী আলোচনা করো :
আরো পড়ুন – চৌরিচৌরার ঘটনা কি
ডান্ডি অভিযান কী :
ভূমিকা :
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হল মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে ডান্ডি অভিযান । এই অভিযানের মধ্যে দিয়েই দেশজুড়ে আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা হয় ।
সময়কাল :
গান্ধীজি তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১২ই মার্চ গুজরাতের সবরমতি আশ্রম থেকে ডান্ডি অভিযানের শুভারম্ভ করেন ।
পটভূমি :
১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, সাইমন কমিশনের প্রতিক্রিয়াশীল নীতি, অনশনে বিপ্লবী যতীন দাসের মৃত্যু প্রভৃতি ঘটনার ফলে দেশজুড়ে এক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয় । এই পরিস্থিতিতে গান্ধিজি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে সরকারের নিকট বন্দিমুক্তি , করের বোঝা হ্রাস সহ ১১ দফা প্রস্তাব রাখলে বড়োলাট আরউইন তা খারিজ করে দেন । স্বভাবতই গান্ধিজির সামনে সরকারের বিরুদ্ধে আইন অমান্য আন্দোলন করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ খোলা ছিল না । এই আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা পর্ব হিসেবে গান্ধীজি ডান্ডি অভিযানের শুভারম্ভ করেন ।
ডান্ডি অভিযান :
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১২ই মার্চ গান্ধীজী ৭৮ জন অনুগামীসহ সবরমতী আশ্রম থেকে ২৪ দিনে ২৪১ মাইল পথ অতিক্রম করে ডান্ডির সমুদ্রতীরে ৬ই এপ্রিল ভােরে আরব সাগরের জলে স্নান করে নিজের হাতে আরব সাগরের জল থেকে লবণ তৈরি করে লবণ আইন ভঙ্গ করেন । গান্ধীজির লবণ আইন ভঙ্গের পরেই সারা দেশ জুড়ে শুরু হয় আইন অমান্য আন্দোলন । গুজরাটের সবরমতী আশ্রম থেকে ডান্ডি পর্যন্ত গান্ধীজীর এই দীর্ঘ পদযাত্রা ডান্ডি অভিযান নামে পরিচিত।
ডান্ডি অভিযানের কর্মসূচি :
আইন অমান্য আন্দোলনের কর্মসূচির তালিকায় ছিল —
( a ) লবণ আইন ভঙ্গ করা
( b ) সরকারি খাজনা বন্ধ করা
( c ) বিলাতি পণ্যের দোকানের সামনে পিকেটিং করা
(d) সরকারি চাকুরি ত্যাগ ইত্যাদি ।
ডান্ডি অভিযানের গুরুত্ব :
আইন অমান্য আন্দোলনের শুভারম্ভের ক্ষেত্রে ডান্ডি অভিযানের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম ।
( a ) দেশজুড়ে আইন অমান্য আন্দোলনের প্রসার ঘটে ।
( b ) দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লবণ প্রস্তুত তথা লবণ আইন ভঙ্গ করার হিড়িক পড়ে যায় ।
আব্বাস তায়েবজির নেতৃত্বে ধরসনায় সরকারি লবণের গোলা লুণ্ঠিত হয় ।
মূল্যায়ন :
গান্ধীজির ডান্ডি অভিযানকে সমর্থন করে জাতীয় নেতারা এই অভিযানের ভূয়সী প্রশংসা করেন । জওহরলাল নেহরু গান্ধীজির এই ডান্ডি অভিযানকে নীরব তীর্থযাত্রা বলে উল্লেখ করেছেন । সুভাষচন্দ্র বসু গান্ধীজির এই ডান্ডি অভিযানকে নেপোলিয়নের এলবা দ্বীপ থেকে প্যারিস প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে তুলনা করেছেন ।
আরো পড়ুন – চম্পারণ সত্যাগ্রহ সম্পর্কে আলোচনা করো
FAQs On – ডান্ডি অভিযান কী আলোচনা করো
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১২ই মার্চ গান্ধীজী ৭৮ জন অনুগামীসহ সবরমতী আশ্রম থেকে ২৪ দিনে ২৪১ মাইল পথ অতিক্রম করে ডান্ডির সমুদ্রতীরে ৬ই এপ্রিল ভােরে আরব সাগরের জলে স্নান করে নিজের হাতে আরব সাগরের জল থেকে লবণ তৈরি করে লবণ আইন ভঙ্গ করেন । গান্ধীজির লবণ আইন ভঙ্গের পরেই সারা দেশ জুড়ে শুরু হয় আইন অমান্য আন্দোলন । গুজরাটের সবরমতী আশ্রম থেকে ডান্ডি পর্যন্ত গান্ধীজীর এই দীর্ঘ পদযাত্রা ডান্ডি অভিযান নামে পরিচিত।
ডান্ডি অভিযান হয় ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১২ই মার্চ
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১২ই মার্চ গান্ধীজী ৭৮ জন অনুগামীসহ ডান্ডি অভিযান করেন ।
আইন অমান্য আন্দোলনের শুভারম্ভের ক্ষেত্রে ডান্ডি অভিযানের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম ।
( a ) দেশজুড়ে আইন অমান্য আন্দোলনের প্রসার ঘটে ।
( b ) দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লবণ প্রস্তুত তথা লবণ আইন ভঙ্গ করার হিড়িক পড়ে যায় ।
আব্বাস তায়েবজির নেতৃত্বে ধরসনায় সরকারি লবণের গোলা লুণ্ঠিত হয় ।
গুজরাটের সবরমতী আশ্রম থেকে ডান্ডি পর্যন্ত ডান্ডি অভিযান হয় ।