ধাঁধার সঙ্গে শিক্ষা ও উপদেশ প্রদানের বিষয়টি কীভাবে জড়িত – ধাঁধা হল এক প্রকার রহস্যপূর্ণ রচনা। মানুষের কৌতূহলী ও বিচক্ষণ মননের দ্বারা সৃষ্ট যে ছন্দবদ্ধ কৌশলী রচনায় শ্রোতার কাছে উত্তর জানতে চাওয়া হয় তাকেই ধাঁধা বলে।
এই পৃষ্ঠায়
ধাঁধার সঙ্গে শিক্ষা ও উপদেশ প্রদানের বিষয়টি কীভাবে জড়িত :
আরো পড়ুন –বাংলা গদ্যসাহিত্যে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অবদান
ধাঁধার সংজ্ঞা :
ধাঁধা হল এক প্রকার রহস্যপূর্ণ রচনা। মানুষের কৌতূহলী ও বিচক্ষণ মননের দ্বারা সৃষ্ট যে ছন্দবদ্ধ কৌশলী রচনায় শ্রোতার কাছে উত্তর জানতে চাওয়া হয় তাকেই ধাঁধা বলে।
ধাঁধার বৈশিষ্ট্য :
ধাঁধায় মূল বৈশিষ্ট্যগুলি লক্ষ্য করলেই ধাঁধার সঙ্গে শিক্ষা ও উপদেশ প্রদানের বিষয়টি যেভাবে জড়িত তা বোঝা যায় । ধাঁধায় যে মূল বৈশিষ্ট্যগুলি বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয় সেগুলি হল নিম্নরূপ –
- (ক) ধাঁধায় থাকে ভাষার প্রতি দখল, চিন্তার উৎকর্ষ এবং ছন্দ সম্পর্কে স্বচ্ছ জ্ঞান।
- (খ) ধাঁধার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর সরসতা। সরস বলেই সেগুলি বহু যুগ অতিক্রম করে এখনো সমান জনপ্রিয় আছে।
- (গ) ধাঁধায় প্রশ্নকর্তা এবং উত্তরদাতা দুজনেই সক্রিয় থাকে।
- (ঘ) ধাঁধা মূলত ঐতিহ্যমূলক সেজন্য ধাঁধার একটি সর্বজনবিদিত ও সর্বজনগ্রাহ্য উত্তর থাকে।
- (ঙ) ধাঁধা যেহেতু সক্রিয়তার চর্চা, তাই এখানে বুদ্ধির অনুশীলন যেমন ঘটে, অন্যদিক দিয়ে ধাঁধা একরকমের মানসিক ক্রীড়াও বটে।
- (চ) ধাঁধায় বুদ্ধির অনুশীলন ঘটলেও তার মধ্যে প্রবাহিত থাকে এক নির্মল হাস্যরস।
- (ছ) পরিচিত এবং দৈনন্দিন জীবন থেকে ধাঁধার উপকরণ সংগ্রহ করা হয়। যেমন, শিল, নােড়া, উনুন, ছাতা, লাঠি ইত্যাদি।
- (জ) ধাঁধায় বর্ণ, চিহ্ন, সংখ্যা, আকার, আচরণ, গুণ ইত্যাদির দিক দিয়ে সাদৃশ্য বা তুলনা আরােপ করে সংকেত তৈরি করা হয়। যেমন – একটুখানি গাছে/কেষ্ট ঠাকুর নাচে। = বেগুন > বর্ণসাদৃশ্য
সুতরাং,উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি ধাঁধার সঙ্গে শিক্ষা এবং উপদেশ প্রদানের বিষয়টি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে।
ধাঁধার উদাহরণ :
১) সকাল বেলা চার পায়ে হাটে,
দুপুর বেলায় দুই পায়ে হাটে,
বিকাল বেলায় তিন পায়ে হেঁটে
দেশে চলেন বাবাজি।
উত্তর – মানুষ
২) ঘর আছে দরজা নাই,
মানুষ আছে কথা নাই।
উত্তর – ডিম
আরো পড়ুন – বাংলা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাদম্বিনী বসুর অবদান
FAQs On – ধাঁধা, ধাঁধার বৈশিষ্ট্য
ধাঁধা হল এক প্রকার রহস্যপূর্ণ রচনা। মানুষের কৌতূহলী ও বিচক্ষণ মননের দ্বারা সৃষ্ট যে ছন্দবদ্ধ কৌশলী রচনায় শ্রোতার কাছে উত্তর জানতে চাওয়া হয় তাকেই ধাঁধা বলে।
ধাঁধায় যে মূল বৈশিষ্ট্যগুলি বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয় সেগুলি হল নিম্নরূপ –
(ক) ধাঁধায় থাকে ভাষার প্রতি দখল, চিন্তার উৎকর্ষ এবং ছন্দ সম্পর্কে স্বচ্ছ জ্ঞান।
(খ) ধাঁধার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর সরসতা। সরস বলেই সেগুলি বহু যুগ অতিক্রম করে এখনো সমান জনপ্রিয় আছে।
(গ) ধাঁধায় প্রশ্নকর্তা এবং উত্তরদাতা দুজনেই সক্রিয় থাকে।
(ঘ) ধাঁধা মূলত ঐতিহ্যমূলক সেজন্য ধাঁধার একটি সর্বজনবিদিত ও সর্বজনগ্রাহ্য উত্তর থাকে।
(ঙ) ধাঁধা যেহেতু সক্রিয়তার চর্চা, তাই এখানে বুদ্ধির অনুশীলন যেমন ঘটে, অন্যদিক দিয়ে ধাঁধা একরকমের মানসিক ক্রীড়াও বটে।
(চ) ধাঁধায় বুদ্ধির অনুশীলন ঘটলেও তার মধ্যে প্রবাহিত থাকে এক নির্মল হাস্যরস।
(ছ) পরিচিত এবং দৈনন্দিন জীবন থেকে ধাঁধার উপকরণ সংগ্রহ করা হয়। যেমন, শিল, নােড়া, উনুন, ছাতা, লাঠি ইত্যাদি।
(জ) ধাঁধায় বর্ণ, চিহ্ন, সংখ্যা, আকার, আচরণ, গুণ ইত্যাদির দিক দিয়ে সাদৃশ্য বা তুলনা আরােপ করে সংকেত তৈরি করা হয়। যেমন – একটুখানি গাছে/কেষ্ট ঠাকুর নাচে। = বেগুন > বর্ণসাদৃশ্য
১) সকাল বেলা চার পায়ে হাটে,
দুপুর বেলায় দুই পায়ে হাটে,
বিকাল বেলায় তিন পায়ে হেঁটে
দেশে চলেন বাবাজি।
উত্তর – মানুষ
২) ঘর আছে দরজা নাই,
মানুষ আছে কথা নাই।
উত্তর – ডিম