ইউরোপের ধর্মসংস্কার আন্দোলনে মার্টিন লুথারের অবদান – আজকের পর্বে আমরা তোমাদের সাথে আলোচনা করলাম ইউরোপের ধর্মসংস্কার আন্দোলনে মার্টিন লুথারের অবদান নিয়ে ।

আরো পড়ুন – একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশান দ্বিতীয় সেমিস্টার
এই পৃষ্ঠায়
- 1 ইউরোপের ধর্মসংস্কার আন্দোলনে মার্টিন লুথারের অবদান
- 2 ভূমিকা :
- 3 মার্টিন লুথারের প্রথম জীবন:
- 4 আন্দোলনের সূচনা :
- 5 ধর্মসংস্কার আন্দোলনে মার্টিন লুথারের অবদান :
- 5.1 [ক] পােপতন্ত্রের বিরােধিতা :
- 5.2 [খ] খ্রিস্টধর্মের আদর্শের পুনরুজ্জীবনে প্রচেষ্টা:
- 5.3 [গ] অপ্রয়ােজনীয় আচার-অনুষ্ঠানের বিরােধিতা:
- 5.4 [ঘ] প্রতিবাদী খ্রিস্টধর্মের প্রতিষ্ঠা:
- 5.5 [ঙ] রাষ্ট্রশক্তির সুদৃঢ়করণ:
- 5.6 [চ] পোপের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ:
- 5.7 [ছ] বাইবেলের অনুবাদে উৎসাহদান:
- 5.8 [জ] ওয়ার্মসের সভায় মতপ্রকাশ:
- 5.9 [ঝ] লিখিত প্রতিবাদ:
- 5.10 [ঞ] ধর্মসংস্কার আন্দোলনের প্রসার:
- 5.11 [ট] লুথারের জনসমর্থন:
- 6 আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিরূপে মার্টিন লুথারের সাফল্য:
- 7 মূল্যায়ন :
ইউরোপের ধর্মসংস্কার আন্দোলনে মার্টিন লুথারের অবদান
ভূমিকা :
জার্মানি তথা ইউরোপের ধর্মসংস্কার আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬ খ্রি.)।
তিনিই প্রথম খ্রিস্টান চার্চ ও পােপতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক আন্দোলনের সূচনা ঘটান। লুথারের ধর্মতত্ত্বের মূল কথা হল ঈশ্বরে অবিচল বিশ্বাসই মুখ্য, চার্চের আচার-আচরণ গৌণ ব্যাপার।
মার্টিন লুথারের প্রথম জীবন:
ইউরোপে ধর্মসংস্কার আন্দোলনের প্রধান উদ্যোক্তা মার্টিন লুথার জার্মানির স্যাক্সনি প্রদেশের ইসলিবেন গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন (১৪৮৩ খ্রি.)।
তিনি গির্জা ও যাজকদের অনাচার ও দুর্নীতির অবসান ঘটানোর জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেন।
আন্দোলনের সূচনা :
মার্টিন লুথার ছিলেন জার্মানির উইটেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মতত্বের অধ্যাপক। তিনি অগস্টাইন ভ্রাতৃসংঘের সদস্যপদ গ্রহণ করে সন্ন্যাসীর জীবন গ্রহণ করেন।
১৫১০ খ্রিটাব্দে রোমে গিয়ে ক্যাথলিক চার্চের ধর্মগুরু, পোপ ও যাজকদের বিলাস ব্যাসন ও পবিত্র বাইবেলের ভুল ব্যাখ্যা ও দুর্নীতি দেখে তার চার্চ সম্পর্কে মোহভঙ্গ ঘটে।
এরপর তিনি দেশে ফিরে পবিত্র বাইবেলের আদর্শে নতুন করে ধর্ম সংক্রান্ত পঠন পাঠন শুরু করেন। এর ফলে তিনি জানতে পারেন অন্তরের বিশ্বাসই মানুষের জীবনের মূল ভিত্তি।
তার এই আন্দোলন ধর্ম সংস্কার আন্দোলন বা প্রতিবাদী আন্দোলন বা প্রটেস্টান্ট আন্দোলন নামে পরিচিত ।
ধর্মসংস্কার আন্দোলনে মার্টিন লুথারের অবদান :
[ক] পােপতন্ত্রের বিরােধিতা :
- মার্জনাপত্র বিক্রির বিরােধিতা: ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে যাজক টেটজেল সেন্ট পিটার্স চার্চ সংস্কারের অজুহাতে জার্মানির স্যাক্সনিতে যান। সেখানে তিনি পাপমুক্তির ছাড়পত্র হিসেবে ইনডালজেন্স বা মার্জনাপত্র বিক্রি করতে শুরু করেন। মার্টিন লুখার এই মার্জনাপত্র বিক্রয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
- লুথারের ৯৫ থিসিস: মার্টিন লুথার প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন ক্ষমাপত্র বিক্রি করে চার্চ অন্যায়ভাবে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে অর্থ আদায় করছে। তিনি আরও বলেন অনুতাপই হচ্ছে পাপের প্রকৃত প্রায়শ্চিত্ত। অনুতপ্ত চিত্তে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেই পাপ মুক্ত হয়, এজন্য চার্চের দ্বারস্থ হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। ধর্মের নামে এই অনাচারের প্রতিবাদে লুথার ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দের ৩১ অক্টোবর ক্ষমাপত্রের বিরুদ্ধে ৯৫ দফা অভিযোগপত্র ইউটেনবার্গ গির্জার দরজায় টাঙিয়ে দেন। এটি পঁচানব্বই গবেষণাপত্র নামে পরিচিত।
[খ] খ্রিস্টধর্মের আদর্শের পুনরুজ্জীবনে প্রচেষ্টা:
মাটিন লুথার খ্রিস্টধর্মাদর্শের পুনরুজ্জীবন ঘটান। লুথার বলেন যে, ভগবান হলেন সর্বশক্তিমান এবং তার ইচ্ছাতেই পৃথিবীতে সবকিছু ঘটে চলেছে।
লুথারের মতে, সমস্ত মানুষের ভাগ্যই পূর্বনির্ধারিত এবং যে-কোনাে মানুষ মঙ্গলময় ঈশ্বরের করুণা বা Gratia লাভের অধিকারী।
[গ] অপ্রয়ােজনীয় আচার-অনুষ্ঠানের বিরােধিতা:
লুখার ক্যাথলিকধর্মের অধিকাংশ আচার-অনুষ্ঠানকেই অপ্রয়ােজনীয় বলে মনে করতেন। খ্রিস্টের শেষ নৈশভােজ-এর স্মরণে খাদ্যরূপে রুটি ও মদ গ্রহণ রীতি (The Eucharist),
খ্রিস্টধর্মের আনুষ্ঠানিক দীক্ষাগ্রহণ (Baptism), দোষী ব্যক্তিকে পাদরি কর্তৃক শান্তি প্রদান (Penance) এবং অর্থের বিনিময়ে পাপমুক্তি (Indulgence) ক্রয় প্রভৃতি অপ্রয়ােজনীয় আচার-অনুষ্ঠানের বিরােধিতা করেন লুথার।
[ঘ] প্রতিবাদী খ্রিস্টধর্মের প্রতিষ্ঠা:
সেই যুগের অনাচার ও ভ্রষ্টাচারে ডুবে থাকা ক্যাথলিক ধর্মপ্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাধ্যমে লুথার তাঁর মতবাদ প্রচার করেন।
তাই তাঁর মতবাদ ‘প্রতিবাদী খ্রিস্টধর্ম’ বা ‘প্রোটেস্ট্যান্টবাদ’ নামে পরিচিত। তিনি ‘ব্যাবিলনীয় দাসত্ব’ ও ‘জার্মানজাতির খ্রিস্টান অভিজাত সম্প্রদায়ের প্রতি আবেদন’ নামে দুটি গ্রন্থে পোপের প্রাধান্য, যাজকদের ঈশ্বর কর্তৃক নিযুক্তি এবং ধর্ম প্রতিষ্ঠানে যাজকদের প্রাধান্য অস্বীকার করেন।
[ঙ] রাষ্ট্রশক্তির সুদৃঢ়করণ:
লুখার বলেন যে, সমাজে বিশৃঙ্খলা ও অন্যায়ের প্রতিকার করার দায়িত্ব শাসকের।
তাই পােপ বা যাজক নয়, শাসক ও তার কর্মচারীরাই হলেন পৃথিবীতে ঈশ্বরের প্রতিনিধি। লুথারের এই মত ইউরােপে রাজতন্ত্র ও জাতীয় রাষ্ট্রগুলিকে শক্তিশালী করে।
[চ] পোপের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ:
লুথার পোপ ও গির্জার প্রতি তীব্র জেহাদ ঘোষণা করেন। বাইবেলের ব্যাখ্যাকার পোপের চূড়ান্ত কর্তৃত্বকে লুথার চ্যালেঞ্জ জানান।
তাছাড়া তিনি পোপ কর্তৃক ধর্মীয়কর সংগ্রহেরও বিরোধিতা করেন। এর ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে পোপ দশম লিও লুথারকে ‘নাস্তিক’ আখ্যা দেন।
লুথারকে ধর্মাধিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করে পোপ তাঁর কাছে এক আদেশনামাও পাঠান। কিন্তু লুথার পোপের সেই আদেশনামা জনসমক্ষে পুড়িয়ে দেন।
[ছ] বাইবেলের অনুবাদে উৎসাহদান:
উইলিয়াম ওকামের চিন্তাধারার দ্বারা লুথারের ধর্মীয় ভাবনা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়। সাধু অগাস্টিনের বাণী লুথারকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।
জ্ঞান ও বিশ্বাস অর্জনের জন্য শাস্ত্র পড়ার লক্ষ্যেই নিজ নিজ ভাষায় বাইবেলের অনুবাদ প্রয়োজন – এই বিশ্বাসে অনুপ্রাণিত হয়ে লুথার বাইবেলের অনুবাদে উৎসাহ জোগান। তিনি জার্মান ভাষায় ল্যাটিন বাইবেলের অনুবাদ করেন।
[জ] ওয়ার্মসের সভায় মতপ্রকাশ:
পোপের ইচ্ছানুসারে জার্মান সম্রাট পঞ্চম চার্লস জার্মানির ওয়ার্মস শহরে ১৫২১ খ্রিস্টাব্দের ২১ এপ্রিল এক ধর্মীয় আলোচনাসভার আয়োজন করেন। এই সভা ওয়ার্মসের সভা নামে পরিচিত।
এই ধর্মসভায় সকল প্রতিনিধির সামনে লুথার নিজের মতকে অভ্রান্ত বলে ঘোষণা করেন। এই ধর্মসভায় লুথারের আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে পোপ লুথারকে পুড়িয়ে মারার ও তাঁর রচিত সব পুস্তক পুড়িয়ে দেওয়ার আদেশ দেন।
কিন্তু জার্মান সামন্ত রাজা ফ্রেডারিক লুথারকে আশ্রয় দিলে পোপের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়।
[ঝ] লিখিত প্রতিবাদ:
লুথার অজস্র গ্রন্থ ও পুস্তিকা রচনার মধ্যে দিয়ে চার্চতন্ত্রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি তাঁর বন্ডেজ অব দ্য উইল’ প্রবন্ধে লেখেন, “মানুষ ঈশ্বরের ইচ্ছার দাস, শুধু কাজের দ্বারা সে তার নিজের অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে না”
“বাবিলনিয়ান ক্যাপটিভিটি’ গ্রন্থে লুথার বলেন যে, জার্মান জাতির চার্চ পােপতন্ত্রের অধীনতা থেকে মুক্ত হতে চায়। রেজোলিউশান গ্রন্থে লুথার পােপের ক্ষমতাকে অস্বীকার করেন।
[ঞ] ধর্মসংস্কার আন্দোলনের প্রসার:
মার্টিন লুথার সর্বপ্রথম জার্মানিতে ধর্মসংস্কার আন্দোলনের সূচনা ঘটান। পরবর্তীকালে এই ধর্মসংস্কার আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়ে মধ্য, পূর্ব এবং পশ্চিম ইউরােপের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে।
[ট] লুথারের জনসমর্থন:
ইতিমধ্যে ক্যাথলিক ধর্ম ত্যাগ করে বহু জার্মান সামন্ত রাজা ও সাধারণ মানুষ লুথারের অনুগামী ও সমর্থকে পরিণত হয়।
জার্মানির প্রাশিয়া, স্যাক্সনি, ব্রান্ডেনবার্গ, হেসে, লুক্সেমবার্গপ্রভৃতি অঞ্চলে লুথারের মতবাদের ব্যাপক প্রসার ঘটে।
এই পরিস্থিতিতে লুথার ও পোপকে সমর্থনের প্রশ্নে জার্মানিতে গহযুদ্ধ শুরু হয়।এই গৃহযুদ্ধ চলাকালেই ১৫৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি লুথারের মৃত্যু হয়।
আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিরূপে মার্টিন লুথারের সাফল্য:
ইউরোপের ধর্মসংস্কার আন্দোলনে মার্টিন লুথারের কৃতিত্ব ছিল অবিস্মরণীয় ।
[ক] প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মের প্রতিষ্ঠা:
মার্টিন লুথারের ৯৫টি থিসিস প্রকাশের মাধ্যমে ক্যাথলিক চার্চের কিছু অনুশীলনের বিরোধিতা করা হয়, যা প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মের সূচনা করে।
লুথারানিজম, ক্যালভিনিজম, ও অ্যাঙ্গলিকানিজমসহ বিভিন্ন প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মীয় গোষ্ঠী গড়ে ওঠে মূলত মার্টিন লুথারের নেতৃত্বে।
[খ] ধর্মীয় স্বাধীনতা ও বৈচিত্র্য:
মার্টিন লুথারের ধর্মসংস্কারের ফলেই ইউরোপে ধর্মীয় বিশ্বাসের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আসে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় স্বাধীনতা বাড়ে।
[গ] রাষ্ট্র ও চার্চের সম্পর্ক:
মার্টিন লুথারের ধর্মসংস্কারের ফলেই ইউরোপে ধর্মযাজকদের ক্ষমতা বহুলাংশে লোপ পায় এবং রাজাদের ও শাসকদের হাতে ক্ষমতা প্রদান করা হয়, যা চার্চের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়ায়।
এর ফলে ক্যাথলিক চার্চের রাজনৈতিক শক্তি হ্রাস পায়।
[ঘ] জাতীয়তাবাদী প্রবণতা:
বিভিন্ন দেশ ও রাজ্য প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মকে গ্রহণ করে নিজস্ব ধর্মীয় পরিচয় ও স্বাধীনতা গড়ে তোলে, যা জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের বীজ বপন করে।
[ঙ] শিক্ষার উন্নতি:
ধর্মসংস্কার শিক্ষা ও পাণ্ডিত্য প্রচারে ভূমিকা রাখে। প্রোটেস্ট্যান্ট নেতারা জনগণকে বাইবেল পড়ার জন্য উৎসাহিত করেন, যা শিক্ষার প্রসারে সহায়ক হয়।
যা এককথায় মার্টিন লুথারের আন্দোলনকে অনেকাংশে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো।
[চ] সাহিত্য ও শিল্পে প্রভাব:
মার্টিন লুথারের ধর্মসংস্কারের ফলেই ইউরোপে সাহিত্য ও শিল্পকলা পরিবর্তিত হয়। ধর্মীয় ভাবধারা ও প্রোটেস্ট্যান্ট আইডিয়াগুলো সাহিত্যে, চিত্রকলা ও সংগীতে প্রতিফলিত হয়।
[ছ] নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ:
মার্টিন লুথারের ধর্মসংস্কার সমাজে নতুন নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ প্রচলিত করে, যা ব্যক্তিগত দায়িত্ব ও কর্মজীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলে।
মূল্যায়ন :
ইউরোপে ধর্ম সংস্কার আন্দোলন মধ্যযুগের ধর্মীয় একচেটিয়াত্ব ভেঙে দিয়ে সমাজে নতুন ধ্যান-ধারণা, মূল্যবোধ ও প্রথার সূচনা করে। এর ফলে ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা হয়, যা আধুনিক ইউরোপের ভিত্তি রচনা করে। এর থেকে বোঝা যায় মার্টিন লুথার ইউরোপের পুরাতন ধ্যানধারাকে বহুলাংশে ভেঙে ফেলে এক নতুন ইউরোপ প্রত্যাশা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
আরো পড়ুন – বাংলায় কারিগরি শিক্ষার বিকাশের বিবরণ দাও
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন – www.youtube.com/@DRMonojog
জিকে সংক্রান্ত ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন – www.youtube.com/@DRMonojogGK
পিডিএফ পেতে ভিজিট করুন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল – DR Monojog63
আরো জানতে পড়ুন – বিসমার্কের রক্ত ও লৌহ নীতি কি