মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় কেন – গান্ধিবুড়ি নামে পরিচিত মাতঙ্গিনী হাজরা গান্ধিজির ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শামিল হয়ে কপালে ও দুই হাতে গুলিবিদ্ধ হন তাও তিনি বন্দেমাতরম ধ্বনি দিতে দিতে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা হাতে সামনে এগিয়ে চলেন । তাই মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় হয়ে আছেন ।
এই পৃষ্ঠায়
মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় কেন :
আরো পড়ুন – মধুসূদন গুপ্ত স্মরণীয় কেন
মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় কারণ :
ভূমিকা :
১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যে সকল নারী বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে বাংলার বীরাঙ্গনা মাতঙ্গিনী হাজরা অন্যতম।
গান্ধিবুড়ি নামে পরিচিত মাতঙ্গিনী হাজরা গান্ধিজির ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শামিল হয়ে কপালে ও দুই হাতে গুলিবিদ্ধ হন তাও তিনি বন্দেমাতরম ধ্বনি দিতে দিতে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা হাতে সামনে এগিয়ে চলেন ।
পূর্বপরিচয় :
1870 খ্রিস্টাব্দের 19 শে অক্টোবর মেদিনীপুর জেলার তমলুক মহকুমার হোগলা গ্রামে তার জন্ম হয়।
আর্থিক সংকটের জন্য তিনি শিক্ষাগ্রহণ করতে পারেননি। মাত্র আঠারো বছর বয়সে তিনি নিঃসন্তান অবস্থায় বিধবা হন।
জাতীয় আন্দোলনে যোগদান :
মাতঙ্গিনী হাজরা 1905 খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে এবং 1932 খ্রিস্টাব্দে আইন অমান্য আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি 6 মাস কারাবাস করেন। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন।
ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগদান :
1942 খ্রিস্টাব্দে গান্ধীজীর ডাকে ভারতছাড়ো আন্দোলন শুরু হলে মাতঙ্গিনী হাজরা তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
1942 খ্রিস্টাব্দের 29 শে সেপ্টেম্বর 73 বছরের বৃদ্ধা মাতঙ্গিনী হাজরা তমলুক থানা দখল অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
ব্রিটিশ পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির 144 ধারা জারি করে সমাবেশ ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তিনি মিছিলের অগ্রভাগে “বন্দেমাতরম” ধ্বনি দিতে দিতে এগিয়ে চলেন।
মৃত্যুবরণ :
১৪৪ ধারা অমান্য করে পুলিশ মাতঙ্গিনী হাজরার ওপর গুলি চালায়। কপালে ও দুই হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি বন্দেমাতরম ধ্বনি দিতে দিতে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা হাতে সামনে এগিয়ে চলেন ।
অবশেষে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং শহীদের মতো মৃত্যুবরণ করেন । যার পর থেকেই তিনি গান্ধী বুড়ি নামে পরিচিত হন ।
মূল্যায়ন :
পুলিশি অত্যাচার ও আক্রমণ সহ্য করেও মাতঙ্গিনী হাজরা যেভাবে নির্ভিক চিত্তে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন , তা ভারতীয় নারীসমাজের কাছে দৃষ্টান্তস্বরূপ । এই কারণে মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় হয়ে আছেন ।
আরো পড়ুন – দুদুমিঞা স্মরণীয় কেন
FAQs On – মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় কেন
গান্ধিবুড়ি নামে পরিচিত মাতঙ্গিনী হাজরা গান্ধিজির ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শামিল হয়ে কপালে ও দুই হাতে গুলিবিদ্ধ হন তাও তিনি বন্দেমাতরম ধ্বনি দিতে দিতে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা হাতে সামনে এগিয়ে চলেন এবং মৃত্যুবরণ করেন । তাই মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় হয়ে আছেন ।
1870 খ্রিস্টাব্দের 19 শে অক্টোবর মেদিনীপুর জেলার তমলুক মহকুমার হোগলা গ্রামে মাতঙ্গিনী হাজরার জন্ম হয়।
মাতঙ্গিনী হাজরা গান্ধিবুড়ি নামে পরিচিত ।
ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ গ্রহণকারী একজন বীরাঙ্গনা নারী হলেন মাতঙ্গিনী হাজরা । গান্ধীজির মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন । তাই তিনি গান্ধিবুড়ি নামে পরিচিত হন।
মাতঙ্গিনী হাজরা ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ।
মাতঙ্গিনী হাজরা মেদিনীপুর জেলার তমলুক মহকুমার মানুষ ।
মাতঙ্গিনী হাজরা ভারত আন্দোলনে যোগ দিয়ে মৃত্যুবরণ করেন ।