প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার স্মরণীয় কেন – প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ছিলেন একজন বিপ্লবী নারী । তিনি মাষ্টারদা সূর্য্ সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবী দলে যোগদান করেন এবং চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন অভিযানে অংশ নেন। তিনিই ছিলেন ভারতের মুক্তি সংগ্রামের প্রথম মহিলা শহিদ ।
এই পৃষ্ঠায়
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার স্মরণীয় কেন :
আরো পড়ুন – লীলা নাগ স্মরণীয় কেন
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার স্মরণীয় কারণ :
ভূমিকা :
বাংলা তথা ভারতের মুক্তিসংগ্রামে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার একটি স্মরণীয় নাম । তিনিই ছিলেন ভারতের মুক্তি সংগ্রামের প্রথম মহিলা শহিদ । আদর্শবোধ ও আত্মোৎসর্গের মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর নিজের জীবনকে অর্থবহ করে তুলেছিলেন ।
পূর্বপরিচয় :
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ১৯১১ খ্রি: ৫ই মে চট্টগ্রামের ধলঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ।
শিক্ষাজীবন :
চট্টগ্রামের খাস্তগীর বালিকা বিদ্যালয় থেকে পাস্ করার পর তিনি ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজ ও কলকাতার বেথুন কলেজে পড়াশোনা করেন ।
বিপ্লবী আন্দোলনে অংশগ্রহণ :
প্রীতিলতা ছাত্রাবস্থায় ঢাকার দীপালি সংঘে এবং পরবর্তী সময়ে কলকাতায় ছাত্রী সংঘে যোগ দিয়ে লাঠিখেলা, ছোরাখেলার প্রশিক্ষণ নেন ।
তখন থেকেই বিপ্লবী আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে আগ্রহী হন। এই আগ্রহ থেকে তিনি সূর্য সেনের বিপ্লবী দলে যোগদান করেন।
চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন :
তিনি মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে অংশগ্রহণ করেন।
এরপর তিনি মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন অফিস ধ্বংস, জালালাবাদ পাহাড়ের যুদ্ধ (1930 খ্রি.), ধলঘাটের যুদ্ধ (1932 খ্রি.) প্রভৃতি কর্মসূচিতে অংশ নেন।
ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ :
চট্টগ্রাম শহরের উত্তর দিকে পাহাড়তলী স্টেশনের কাছে ইউরোপিয়ান ক্লাবটি ছিল ব্রিটিশদের প্রধান প্রমোদকেন্দ্র ।এই ক্লাবের সামনেই লেখা থাকতো কুকুর ও ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ ।
প্রীতিলতার নেতৃত্বে শান্তি চক্রবর্তী, কালিকিঙ্কর দে প্রমুখ 1932 খ্রিস্টাব্দে 24 শে সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত ১০ টা ৪৫ মিনিটে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়তলির ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণ করেন।
পুলিশ পালটা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের সম্মুখ যুদ্ধ হয়।
এই ক্লাবঘরে তখন প্রায় ৪০ জন ইউরোপিয়ান ছিলেন । বিপ্লবীদের আক্রমণে একজন নিহত ও এগারো জন আহত হয় ।
মৃত্যু :
ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণকালে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার গুলিবিদ্ধ হন । তিনি তাঁর সঙ্গীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী পটাশিয়াম সায়ানামাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন ।
এভাবে দেশমাতার মুক্তিযুদ্ধে নিবেদিতপ্রাণ প্রীতিলতা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
মূল্যায়ন :
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রথম নারী শহীদ হিসাবে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ভারতীয়দের মনে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন । তাঁর আত্মবলিদান ভারতীয় নারীদের স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদানের ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করেছিল ।
আরো পড়ুন – মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় কেন
FAQs On – প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার স্মরণীয় কেন
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ছিলেন একজন বিপ্লবী নারী । তিনি মাষ্টারদা সূর্য্ সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবী দলে যোগদান করেন এবং চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন অভিযানে অংশ নেন। তিনিই ছিলেন ভারতের মুক্তি সংগ্রামের প্রথম মহিলা শহিদ । তাঁর আত্মবলিদান ভারতীয় নারীদের স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদানের ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করেছিল ।তাই প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন ।
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ডাকনাম ছিল রাণী ।
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ছদ্মনাম ছিল ফুলতারা ।
বীরকন্যা নামে পরিচিত প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ।
প্রীতিলতার নেতৃত্বে শান্তি চক্রবর্তী, কালিকিঙ্কর দে প্রমুখ 1932 খ্রিস্টাব্দে 24 শে সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত ১০ টা ৪৫ মিনিটে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়তলির ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণ করেন। পুলিশ পালটা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের সম্মুখ যুদ্ধ হয়।এই ক্লাবঘরে তখন প্রায় ৪০ জন ইউরোপিয়ান ছিলেন । বিপ্লবীদের আক্রমণে একজন নিহত ও এগারো জন আহত হয় এবং প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার গুলিবিদ্ধ হন । তিনি তাঁর সঙ্গীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী পটাশিয়াম সায়ানামাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন ।
ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও প্রথম বিপ্লবী মহিলা শহিদ ।
১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পাহাড়তলীর ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণে বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার আত্মাহুতি দেন।
বীরকন্যা প্রীতিলতার জন্মস্থান কোথায়?
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ১৯১১ খ্রি: ৫ই মে চট্টগ্রামের ধলঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ।
ভারতের প্রথম মহিলা বিপ্লবী শহীদ ছিলেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ।