দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ ও ফলাফল

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ ও ফলাফল – আজকের পর্বে আমরা তোমাদের সাথে আলোচনা করলাম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ ও ফলাফল নিয়ে ।

এই পৃষ্ঠায়

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ ও ফলাফল :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ ও ফলাফল | Second World War Causes and Consequences

আরো পড়ুন – প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণ ও ফলাফল

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ :

ভূমিকা :

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ২০ বছরের ব্যবধানে ১৯৩৯ খ্রি: ৩ রা ডিসেম্বর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয় ।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রাষ্ট্রনেতাগন জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বকে ভয়াবহ যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রয়াসী হয়েছিলেন ।কিন্তু তা সত্বেও বিভিন্ন কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমি রচিত হয়েছিল ।

(ক) ভার্সাই সন্ধির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া :

১৯১৯ খ্রি:ভার্সাই সন্ধিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারন হিসাবে চিহ্নিত করা হয় ।বিজয়ী মিত্রপক্ষ জার্মানির উপর অপমানজনক ভার্সাই সন্ধির শর্ত চাপিয়ে দিয়েছিল ।

যা আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জার্মান জাতির পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি ।বরং জার্মান জাতির মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা জেগে উঠেছিল ।জার্মানি এই একতরফা ও জবরদস্তিমূলক চুক্তি ভেঙে ফেলার অপেক্ষায় ছিল ।

তাই ঐতিহাসিক ই.এইচ.কার যথার্থই বলেছেন যে ,ভার্সাই চুক্তির মধ্যেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বীজ নিহিত ছিল ।

(খ) উগ্র জাতীয়তাবাদ :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম কারন ছিল জার্মানি ,ইতালি ও জাপানের উগ্র জাতীয়তাবাদী নীতি ।হেরেনভক তত্বে বিশ্বাসী হিটলার বলতেন ,জার্মানরাই হল বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জাতি ।

তিনি জার্মানিকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শক্তিতে পরিণত করতে চেয়েছিলেন ।

হিটলারের আগ্রাসী নীতির সঙ্গে জার্মানির উগ্র জাতীয়তাবাদের সমন্বয়ে যে সাম্রাজ্যবাদী নীতির জন্ম হয়েছিল তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে অনিবার্য্য করে তুলেছিল ।

(গ) অতৃপ্ত জাতীয়তাবাদ :

জার্মানির অতৃপ্ত জাতীয়তাবাদ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম কারন ছিল ।এই অতৃপ্ত জাতীয়তাবাদকে চরিতার্থ করতে নাৎসি দলের ক্ষমতা দখলের মধ্যে দিয়ে জার্মানিতে প্রাক – বিশ্বযুদ্ধকালীন সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছিল ।

(ঘ) ঔপনিবেশিক তৎপরতা :

উপনিবেশ প্রাতিষ্ঠার প্রতিদ্বন্দিতাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারন হিসাবে চিহ্নিত করা হয় ।ভার্সাই সন্ধির ফলে জার্মানি তার উপনিবেশগুলি হারিয়েছিল এবং নতুন উপনিবেশ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর ছিল ।

অপরদিকে ইংল্যান্ড ,ফ্রান্স ,আমেরিকা প্রভৃতি রাষ্ট্রগুলি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উপনিবেশ বৃদ্ধি করেই চলেছিল ।

(ঙ) ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের তোষণ নীতি :

ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স জার্মানির প্রতি তোষণ নীতি গ্রহণ করেছিল ।তারা ভেবেছিল এভাবে হিটলারকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে । কিন্তু তাদের এই কর্মপন্থা হিটলারের আগ্রাসী মনোভাবকে চূড়ান্ত মাত্রা দেয় ।

তবে এক্ষেত্রে বলা ভালো ,জার্মানির থেকে রাশিয়াকে আরো বিপজ্জনক মনে করেই জার্মানির প্রতি ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স তোষণ নীতি গ্রহণ করেছিল ।

কিন্তু এই তোষণ নীতির ফলে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির আগ্রাসন আরো বেড়ে গিয়েছিল ।

(চ) নিরস্ত্রীকরণ  ব্যর্থতা :

জেনেভার নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে বৃহৎ শক্তিবর্গ জার্মানির অস্ত্রশক্তি হ্রাসে অত্যন্ত উদগ্রীব হলেও তারা নিজেদের অস্ত্রশক্তি হ্রাস করতে রাজি ছিল না ।

জার্মানি নিজের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে না পেরে সম্মেলন ত্যাগ করে নিজের ইচ্ছেমতো সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে ।

(ছ) জাতিসংঘের ব্যর্থতা :

জাতিসংঘের ব্যর্থতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম প্রধান কারন ছিল ।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংকল্প নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ।

কিন্তু জাতিসংঘ তার কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছিল ।জাতিসংঘ বৃহৎ শক্তিবর্গের অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে অপারগ থাকায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঘনীভূত হয় ।

ইতালির আবিসিনিয়া অধিকার কিংবা জাপানের মাঞ্চুরিয়া অধিকারের ঘটনায় জাতিসংঘ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল ।

(জ) পরস্পরবিরোধী শক্তিজোট গঠন :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে পরস্পর বিরোধী শক্তিজোট গঠন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমি রচনা করেছিল ।একদিকে জার্মানি ,ইতালি ,জাপান এই অতৃপ্ত রাষ্ট্রগুলি রোম – বার্লিন – টোকিও অক্ষশক্তি গঠন করেছিল ।

অপরদিকে জোটবদ্ধ  হয়ে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স গঠন করেছিল মিত্রশক্তি ।যুদ্ধ চলাকালীন আমেরিকা ও রাশিয়া যোগদান করে মিত্রশক্তিকে আরোও জোরদার করেছিল ।

(ঝ) একনায়ক তন্ত্রের উত্থান :

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর কয়েকটি দেশে একনায়কতন্ত্রের  উদ্ভব হয়।এর মধ্যে অন্যতম ছিল ইতালির শাসক মুসোলিনি এবং জার্মানির শাসক হিটলার।

এরা তাদের উগ্র সাম্রাজ্যবাদ এবং যুদ্ধবাদী নীতি দ্বারা  গোটা পৃথিবীতে একটা ভয়ানক অশান্তির সৃষ্টি করেছিল।

প্রত্যক্ষ কারণ – হিটলারের পোল্যান্ড আক্রমণ  :

রোম, বার্লিন, টোকিও অক্ষশক্তি গঠিত হওয়ার পর হিটলার পোলিশ করিডর দাবি করেন। ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড এর  বিরোধিতা করে পোল্যান্ডের পক্ষ নেবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়।

ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের এই সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে ১ লা সেপ্টেম্বর জার্মানি পোল‍্যান্ডের উপর অক্রমন চালায়।

হিটলারের এই সিদ্ধান্তের যথাযোগ্য  উত্তর দিতে ৩রা  সেপ্টেম্বর ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড পোল‍্যান্ডের পক্ষে ও জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ।ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয় ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলাফল :

(ক) পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রের বিকাশ :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর বিশ্ব রাজনীতিতে যে সুদূর প্রসারি ফলাফল লক্ষ‍্য করা যায়  তার মধ‍্যে অন‍্যতম ছিল পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্র বাদের বিকাশ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারা পৃথিবী সমাজতান্ত্রিক দেশ ও পুঁজিবাদী দেশ এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় । পশ্চিম ইউরোপের যুক্তরাষ্ট্রে পুঁজিবাদের বিকাশ ঘটে।

আবার অন‍্য দিকে পূর্ব ইউরোপে সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতন্ত্র বিকাশ লাভ করে।

(খ) অক্ষশক্তির প্রাধান্য হ্রাস :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাককালে ইতালি,জার্মানিও জাপান অর্থ্যাৎ অক্ষশক্তি যে প্রাধান্য অর্জন করেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে তার অবসান ঘটে ।

১৯৪৩ খ্রি: মিত্রশক্তি ইতালির রোম অধিকার করলে ,১৯৪৫ খ্রি: রাশিয়া জার্মানির বার্লিন দখল করলে এবং ১৯৪৫ খ্রি: আমেরিকা জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বোমা নিক্ষেপ করলে জাপানের পরাজয় ঘটে । 

(গ) ফ্রান্স ও ব্রিটেনের পতন :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেন তার বিশ্বব‍্যপী সাম্রাজ্য হারায়। ব্রিটেনের অর্থনীতি ভেঙে পড়ে  ও বিশ্বে পণ্য রপ্তানী বন্ধ হয়ে যায় ।

অর্থনীতি পুনুরুদ্ধারের জন‍্য তাদেরকে স্থল ও নৌবহর হ্রাস করতে হয় যা তাদের সামরিক শক্তিকে খর্ব করে ।

অন‍্যদিকে ফ্রান্সেও অভ‍্যন্তরীন অর্থনীতি ও শিল্প ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা ফ্রান্সকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।

(ঘ)পরমাণু যুগের সূচনা :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পরমাণু বোমা তৈরি ও ব্যবহার  করে ।এরপর সোভিয়েত ইউনিয়ন পরমাণু শক্তিধর হয় ।

একে একে অনেক দেশ পরমাণু শক্তিধর হয়ে ওঠে ।শুরু হয় পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতা ।

(ঙ) তৃতীয় বিশ্বের উদ্ভব :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ইংল্যান্ড ,ফ্রান্সের মতো ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে ।যুদ্ধের ফলে উপনিবেশগুলোতে জনজাগরণ ঘটে এবং অনেক উপনিবেশ স্বাধীন হয় ।

এশিয়া,আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার এই দেশগুলো নিয়ে তৃতীয় বিশ্বের উদ্ভব হয় ।

(চ) ঠান্ডা লড়াইয়ে সূচনা :

এই বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের নিজ নিজ প্রভাব বলয় সৃষ্টি করে।এই দুই দেশই একসময় এক বিপুল পারমাণবিক অস্ত্রের ভান্ডার গড়ে তোলে।

দুই দেশই এই পারমাণবিক অস্ত্রের ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত ছিল ফলে সূচনা হয় এক নীরব যুদ্ধের যা ইতিহাসে ঠান্ডা লড়াই নামে পরিচিত।

(ছ) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রতিষ্ঠা :

১৯৪১ সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি রূশভেল্ট ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী  আটলান্টিক মহাসাগরে অগাষ্টা যুদ্ধ জাহাজে আটলান্টিক সনদ সাক্ষর করে।

১৯৪২ সালে আস্থা স্থাপনকারী ২৬ টি দেশর সম্মেলনে সর্বপ্রথম জাতিপুঞ্জ কথাটি ব‍্যবহৃত হয়। ১৯৪৫ সালে ২৪ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয় সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ।

(জ) জাতীয়তাবাদের বিকাশ :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছিল একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক দেশগুলির সাফল্য ।ফলে গণতন্ত্র জয়যুক্ত হলে সমগ্র বিশ্বে নতুন আবহের সূত্রপাত হয় ।

সমাজতন্ত্র ও ধনতন্ত্রে বিভক্ত পৃথিবীর মেরুকরণে জাতীয়তাবাদী মানসিকতা গড়ে উঠতে থাকে ।এই সময় বিভিন্ন উপনিবেশগুলোতে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন খুবই শক্তিশালী হয়ে ওঠে ।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটতে থাকে ।

মূল্যায়ন :

এই সমস্ত বিষয়গুলি ছাড়াও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উদ্ভুত পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও শান্তির ক্ষেত্রে সমস্যাকে আরও জটিল থেকে জটিলতর করে তুলেছিল ।

তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সুদূরপ্রসারী ফল ছিল আরো বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ।এই যুদ্ধে পারমানবিক অস্ত্রের ধংসলীলা থেকে মানবজাতি যে শিক্ষা নিয়েছিল ,তার কারণেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আজও স্থগিত আছে ।

আরো পড়ুন – এমস টেলিগ্রাম কি

FAQs On – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ ও ফলাফল

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এর কবে সমাপ্তি হয়েছিল?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি হয়েছিল ১৯৪৫ সালে

২য় বিশ্বযুদ্ধ কেন হয়?

১৯৩৯ সালে জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ।

২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন উইনস্টন চার্চিল ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় কবে ?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ১৯৩৯ খ্রি: ৩ রা ডিসেম্বর ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল ?

রোম, বার্লিন, টোকিও অক্ষশক্তি গঠিত হওয়ার পর হিটলার পোলিশ করিডর দাবি করেন। ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড এর  বিরোধিতা করে পোল্যান্ডের পক্ষ নেবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়।ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের এই সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে ১ লা সেপ্টেম্বর জার্মানি পোল‍্যান্ডের উপর অক্রমন চালায়। হিটলারের এই সিদ্ধান্তের যথাযোগ্য  উত্তর দিতে ৩রা  সেপ্টেম্বর ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড পোল‍্যান্ডের পক্ষে ও জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ।ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয় ।

“দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ ও ফলাফল”-এ 2-টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন